না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুর ৷ বৃহস্পতিবার সকালে মাত্র ৬৭ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন তিনি। শেষবার হাসপাতালে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়িতেই লকডাউনে ছিলেন এই সুপারস্টার। দারুণ হাসি-খুশি মানুষ ছিলেন ঋষি কাপুর। করোনার এই দিনগুলোতে বাড়িতেই থেকেই মজার মজার টুইট করতেন ভক্তদের উদ্দেশ্যে। এছাড়া সব সময় সচেতন করতেন, এই মহামারীর দিনে কেউ যেরো ঘর থেকে বাইরে না আসে। বুধবার ইরফান খানের মৃত্যুর পর তার আত্মার শান্তি কামনা করে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রয়াত অভিনেতার ছবি শেয়ার করেন ঋষি কাপুর। সেই ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজেও চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে। এর আগে গত ২ এপ্রিলভক্তদের উদ্দেশ্যে ঋষি শেষ বার্তা দিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার পর স্ত্রীর সঙ্গে মুম্বইয়ের বাড়িতে ছিলেন ঋষি।
আরো পড়ুন
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
লকডাউন ভেঙে যাতে কেউ বাড়ির বাইরে বের না হন, তার জন্য ভক্তদের কাছে বার বার আর্জি জানান ঋষি কাপুর। কঠিন পরিস্থিতিতে কেউ যেন চিকিতসক, নার্স কিংবা চিকিতসা কর্মীদের হেনস্থা না করেন, সেই আর্জিও জানিয়েছিলেন ঋষি। ঋষির মৃত্যুর পর কাপুর পরিবারেরও বিশেষ বার্তা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, ‘প্রায় দু’বছর ধরে লিউকোমিয়ায় ভুগছিলেন ঋষি কাপুর৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে পর্যন্ত গোটা হাসপাতালের মানুষজনকে এন্টারটেন করে গেছেন ৷ তিনি এরকমই মানুষ ছিলেন, হাসতে ভালবাসতেন, হাসাতে ভালবাসতেন ৷ গোটা পৃথিবী যেন তার এই হাসি মুখটাই মনে করে থাকে ৷ তার চলে যাওয়া সত্যিই বড় ক্ষতি ৷ এই বার্তায় কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ‘দেশ এখন বিপর্যয়ে ৷ করোনার প্রকোপে ৷ রাস্তায় ভিড় করা এখন একেবারেই উচিত নয় ৷ তাই ফ্যানদের জানাই দেশের আইনকে সম্মান জানান ৷ তাহলে খুশি হবে ঋষি কাপুরের আত্মা ৷’