করোনা পরবর্তী বিশ্বে খাপ খাইয়ে টিকে থাকাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে জাতি যত বেশি মেধাসম্পদ কাজে লাগাতে পারবে চলমান চতুর্থ শিল্প বিল্পব বা ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে তারা ততটা সফল হবে বলে জানিয়েছেন,ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার রাতে ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ আয়োজিত করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। দেশে মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠী, যা আমাদের বড় সম্পদ। এই সম্পদকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লব উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবো।
মেধাকে সত্যিকারভাবে কাজে লাগাতে পারলে আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট (জনমিতি) অনুযায়ী, ২০৩১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের বড় শক্তি। তাদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে কাজে লাগাতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য।
আরো পড়ুন
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের ৪৯ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছরে দেশ তার অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে অভাবনীয় সফলতার মধ্যে এগিয়েছে। বাকি সময়টা জাতি অতিক্রম করেছে পশ্চাৎপদতা আর ষড়যন্ত্রের অন্ধকারে।
করোনা পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সব দেশে একই অবস্থা বিরাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্ব বিশেষ করে আমেরিকার নাগরিকরা ঘরে বসে যে ডিজিটাল সুযোগ গ্রহণ করছে আমরাও একই সুবিধা পাচ্ছি। আমাদের এই অর্জন গত ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সফলতা। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখছে।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে ধীরে ধীরে কায়িক শ্রমের অস্তিত্ব থাকবে না। কায়িক শ্রম মেধানির্ভর শ্রমে পরিণত হবে । কায়িক শ্রমে নিযুক্ত দেশে ও দেশের বাইরে বিশাল শ্রমশক্তির জন্য এটি হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটা মোকাবিলার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেটস অব বাংলাদেশ কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, সোহেল কাশেম এবং মাহবুব আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।