আগামী ৫০ বছর পর অর্থাৎ ২০৭০ সালে পৃথিবী হয়ে উঠবে আরও উষ্ণ। সে সময় বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ বসবাস করবে পৃথিবীর মারাত্মক উষ্ণতম এলাকাগুলোতে। এই মানুষগুলোর বেশিরভাগ হবে দরিদ্র, যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র তো দূরের কথা, হয়তো বৈদ্যুতিক পাখা কেনার সামর্থ্যও থাকবে না।
একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের ওয়াগেনিঞ্জেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মার্টেন শেফার গবেষক দলের একজন। তিনি বলেন, মানবসৃষ্ট আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর গড়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে সেদিন খুব দূরে নয়, যেদিন কয়েকশ’ কোটি মানুষ পৃথিবীর মারাত্মক উষ্ণ অঞ্চলে বসবাস করতে বাধ্য হবেন। কিন্তু গরম প্রতিরোধের কোনো যন্ত্র তাদের কাছে থাকবে না।
আরো পড়ুন
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
ঠিক কত সংখ্যক মানুষ মারাত্মক উষ্ণ অঞ্চলে বসবাস করবে তা শেষ পর্যন্ত নির্ভর করবে ২০৭০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা কত হবে এবং এই সময়ের মধ্যে কী পরিমাণ কার্বণ নিঃসরণ হবে তার ওপর।
তবে সোমবার যে নতুন গবেষণাটি প্রতিবেদনটি ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে তাতে অনুমান করা হয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষ মারাত্মক উষ্ণ অঞ্চলে বাস করবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৭০ সাল নাগাদ ৩৫০ কোটি মানুষ হবে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
বিজ্ঞানীদের একটি দল ছয় হাজার বছর আগে পৃথিবীর আবহাওয়া কেমন ছিল তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা দেখেছেন, ওই সময় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
বর্তমানে দুই কোটি মানুষ পৃথিবীর এমন সব অঞ্চলে বাস করে যেখানে পুরো বছর গড় তাপমাত্রা থাকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। এই অঞ্চল পৃথিবীর মোট আয়তনের মাত্র এক শতাংশ। নির্দিষ্ট করে বললে, এই অঞ্চলটি হলো সাহারা মরুভূমির আশপাশের অঞ্চল এবং সৌদি আরবের মক্কা শহর।