দেশের যেসমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শুনতে সুন্দর নয়, বলতে বা উচ্চাকরণ করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এবং অন্যান্ন মানুষের বিব্রত হতে হয়, সেই সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভনীয় নাম প্রস্তাব করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে পাঠাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে নীলফামারী সদর উপজেলার ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘মানুষগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ‘চোরেরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করে ‘আলোর ভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনাপত্রে এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।
আরো পড়ুন
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) খালিদ আহমেদের সই করা ৬ আগস্টের ওই নির্দেশনাপত্রে বলা হয়েছে, সারাদেশে এমন কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম আছে যা শ্রুতিমধুর নয় এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে সুশোভন নয়। এসব নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নরসিংংদীর বেলাবো উপজেলার ‘কুকুরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ ও রাঙামাটির ‘চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ব্যঙ্গবিদ্রুপ চলছে। এর বাইরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ‘দুধ খাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ নাম নিয়েও ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিব্রত পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ এসেছে। এমন আরও নানা উদ্ভট নামের বিদ্যালয় সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আছে।
সূত্র আরও জানায়, বিচ্ছিন্নভাবে এর আগেও এ ধরনের কয়েকটি স্কুলের নাম পরিবর্তন করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন এ ধরনের সব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।