কালিয়া প্রতিনিধিঃ করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত ঢাকা ফেরত নড়াইলের কালিয়ার সেই বিশ্বজিতের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ হয়েছে বলে বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন কালিয়ার ইউএনও।
এদিকে নিজ দায়িত্বে মরদেহের সৎকার করায় ইউএনও মো. নাজমুল হুদা ও কালিয়া প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফসিয়ার রহমানসহ ৭ জনকে বুধবার থেকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গ নিয়ে উপজেলার চোরখালি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে বিশ্বজিত রায় চৌধুরী ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। গত ৭ মে তিনি জ্বর শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি স্বজনদের কাছে ফিরে আসেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে স্বজনরা তাকে আলাদা ঘরে কোয়ারেন্টেনে রাখলে গত ৯ মে রাতে তিনি সকলের অজান্তেই মারা যান। ঘটনাটি উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং বিশ্বজিতের লাশটি উদ্ধার করেন। পরিবারের কেউই তার মরদেহের কাছে না আসা ও সৎকারের জন্যও এগিয়ে না আসায় স্থানীয় ওই সাংবাদিকের সহযোগিতায় ভ্যানে তুলে ইউএনও নিজেই তার লাশ বহন করে শ্মশানে নিয়ে সৎকার করেন।
আরো খবর:
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ লাশের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরন করলে তার ফলাফলে করোনা পজেটিভ হয়েছে বলে ইউএনও নাজমুল হুদা নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আপতাতো আমি হোম কোয়ারেন্টেনেই আছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক বলেছেন, বিশ্বজিতের লাশ সৎকারকারি ইউএনও, আমাকে এবং সহযোগীতাকারি সাংবাদিক সহ ৭ জনকে বুধবার থেকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে, সকলের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার পরীক্ষাগারে প্রেরন করা হয়েছে।