কালিয়া (নড়াইল) || স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক সদস্য, সাবেক পুলিশ সদস্য ও বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল কাইউম শিকদারের (৪৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায় তার নিজ গ্রামের কবরস্থানে। ওইদিন বিকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় জমান।
শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে ছুটে আসেন নড়াইল ১ আসনের এমপি মো. কবিরুল হক মুক্তি, কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম শেখ, উপজেলার নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহ মো. ফোরকান মোল্যাসহ বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ। এরপর সন্ধ্যা ৬ টায় তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
স্থানীয়রা ও তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, পেশাগত জীবনে কাইউম শিকদার বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য ছিলেন। পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর তিনি ওই বাহিনীর কাবাডি দলে যোগ দেন। এক সময় তিনি আইজিপি কাবাডি দলেলর অধিনায়ক নিযুক্ত হন এবং বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের সদস্য হয়ে তিনি দেশে বিদেশে কাবাডি খেলায় অংশ গ্রহন করেছেন। তিনি পুলিশ বাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে গ্রামে ফিরে আসার পর কলাবাড়িয়া ইউনিয়রে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
আরো খবর
- কালিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছার পোষ্টার ছিড়লো দুবৃত্তরা
- কালিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি
- কালিয়ায় নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
- কালিয়ার চাচুড়ী বাজারে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
- ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় নড়াইলের কালিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
তারা আরও জানান, ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরই স্থানীয় রাজনীতির রোষানলের স্বীকার হন। দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলাকালে গত ২৬ মে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কাইউম শিকদার ও উপজেলার নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাতসহ ৪ জন নেতাকর্মী ২টি মটরসাইকেল যোগে কালিয়া থেকে কলাবাড়িয়া গ্রামে ফেরার পথে ওই সড়কের কালিনগর নামক স্থানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে মটর সাইকেল থেকে ফেলে কাইউম শিকদার (৪৫), হাসনাত মোল্যাকে (৩৮), সজিব মল্লিক (২৫) ও মতিয়ার মল্লিককে (৪০) হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলাসহ কুপিয়ে আহত করে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। আহতদেরকে কালিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে সাবেক ওই ক্রীড়াবিদ কাইউম শিকদারকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। হাসনাতসহ অন্যদেরকে আশংকাজনক অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার নড়াগাতি ওসি রোকসানা খাতুন বলেছেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। খুনিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।